Breaking

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য যেভাবে প্রসতি নিবেন



প্রিয় শিক্ষার্থীরা ভাই বোনেরা সদ্য পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট অর্জনের জন্য আপনাদেরকে শুভেচ্ছা। নিশ্চয় সামনে ভর্তিযুদ্ধের জন্য ভালোমতো প্রস'তি নিচ্ছেন? মনে রাখবেন এবার প্রতিযোগিতা কিন' আরো বেড়ে যাবে। সবগুলো সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে মোট আসন আছে ১৯,০০০ বা এর কাছাকাছি। সরকারী মেডিকেল কলেজ গুলোতে মোট আসন আছে ৩,০০০ এর মতো। কিন' সেখানে প্রতিযোগিতায় লড়বে প্রায় ৫০,০০০+ ছাত্র-ছাত্রী। তাই প্রতিযোগিতায় নিজেকে ধরে রাখতে হলে প্রথম থেকে ভালমতো পড়াশোনা করতেই হবে।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার নাম্বার স্কেল :
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ১০০ নাম্বার হবে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে। আর বাকি ১০০ নাম্বার হবে সরাসরি পরীক্ষা। এস.এস.সি এর রেজাল্ট এর সাথে ৮ গুণ করে তার সাথে এইচ.এস.সি এর রেজাল্টের ১২ গুণ যোগ করতে হবে। তাহলে প্রথম ১০০ নাম্বার এর ফলাফল পেয়ে যাবেন।

মানবন্টন :
জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থ ২০, ইংরেজী ১৫ এবং সাধারন জ্ঞান এর জন্য নাম্বার হলো ১০। মোট ১০০ নাম্বারের নৈর্বত্ত্যিক পরীক্ষা হবে। এর জন্য সময় দেয়া হবে ৬০ মিনিট। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নাম্বার দেয়া হবে। আর ভুল উত্তরের জন্য .২৫ নাম্বার কেটে নেয়া হবে।
কিভাবে পড়তে হবে?
মেডিকেল ভর্তিও জন্য নিখুঁত প্রস'তি প্রয়োজন। কোন গাইড বা নোট পড়ে, পড়াকে কমিয়ে নিলে কাজ হবেনা। টেক্সটবুক এর উপর দক্ষতা থাকতে হবে।
সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে বায়োলজি থেকে। বায়োলজি থেকে সাধারনত বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য, ছক আর উদাহরণ পড়তে হয়। এগুলো মনে রাখা বেশ কষ্টের। ছড়া, ছন্দ সাজিয়ে পড়লে এবং কঠিন বিষয়গুলো বারবার লেখার অভ্যাস করলে সহজে আয়ত্বে আসবে।
মূল বই পড়ার সময় প্রতিটি অধ্যায়ের পাশে নিজের নোট লিখে রাখবেন, এগুলো শেষ সময়ে আপনাকে সাহায্য করবে। দক্ষতা যাচাই এর জন্য নিয়মিত পরীক্ষা দিবেন। এজন্য কোচিং এর প্রশ্ন কালেক্ট করে বাসায় পরীক্ষা দিতে পারেন, কোচিয় এ ভর্তি হয়ে পরীক্ষা দিতে পারেন, বা স্পেশালিষ্টদেও কাছে প্রাইভেট পড়ে দিতে পারেন, যেটা আপনার সামর্থে কুলায়।
ভর্তি পরীক্ষা যেহেতু নৈর্ব্যত্তিক নির্ভর তাই আপনাকে প্রশ্ন নিয়ে প্রচুর নাড়াচাড়া করতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্ন গুলো নিযমিত দেখে নিবেন। তাহলে চ্যাপ্টারের কোথা থেকে প্রশ্ন বেশি আসে সে ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা হবে।
মেডিকেলে গাণিতিক সমস্যা খুব কম আসে। তাই পদার্থ ও রসায়নের থিওরীর দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে।
বিগত দুবছরের প্রশ্ন থেকে দেখা যায় সাধারণ জ্ঞান কোন নির্দিষ্ট নীতি অনুসরণ করছেনা। মেডিকেলে সাধারণত সাম্প্রতিক বিশ্ব থেকে কোন প্রশ্ন আসেনা। তাই সাম্প্রতিক বিশ্ব বাদ দিয়ে সাধারণজ্ঞান যেমন: রাজধানী, মুদ্রা, সদরদপ্তর, ঐতিহাসিক স'ান, নদ-নদী, বিবিধ আন্তর্জাতিক ও বিবিধ বাংলাদেশ বিষয় ভাল করে রপ্ত করতে হবে। প্রতিদিন রুটিন কওে সময় বের কওে নিয়ে ইংরেজী ও সাধারনজ্ঞান চর্চা বাড়াতে হবে মূল পড়াশোনার পাশাপাশি।

কেমিস্ট্রির নোট :
এবার আপনাদেও জন্য রয়েছে রসায়নের একটি নোট। নোটটি তৈরী করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের, ডা: তানজিল ভাই। যারা ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হতে আগহী তারাও ডাউনলোড করে নিতে পারেন। কাজে অবশ্যই লাগবে। নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করুন। ৬ পেজের একটা সীট। বিগত বছরগুলোতে ভার্সিটি পরীক্ষায় মিনিমাম দুটো প্রশ্ন কমন পড়েছে।
মিডিয়াফায়ার ডাউনলোড লিংক ( ১.৬৪ মেগাবাইট)
আজ এ পর্যন্ত। ভাল থাকবেন, সুস' থাকবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা মনদিয়ে পড়ালেখা করুন।
এই প্রবন্ধটি ডা: তানজিল ভাইয়ের লিখা থেকে নেয়া। মূল লেখাটি পড়তে এখানে যান।
আল্লাহ হাফেজ।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন