Breaking

বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৭

আরডুইনো টিউটোরিয়াল [পর্ব-২০] :: আল্ট্রাসনিক সেন্সর কি? আরডুইনোর সাথে আল্ট্রাসনিক সেন্সর ব্যবহার করার পদ্ধতি


আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। দীর্ঘদিন ধরে আরডুইনো টিউটোরিয়াল নিয়ে কোন লেখা দিচ্ছি না। আসলে সময়ই পাই না লেখার। তবে আজ একটু কথা বলবো। আজ আপনাদের সাথে টিউটোরিয়ালের ২০ তম পর্ব নিয়ে আলোচনা করবো। আরডুইনো টিউটোরিয়ালের ২০ তম পর্বে আমরা যে বিষয়টি শিখবো তা হলো আল্ট্রাসনিক সেন্সর কি এবং আল্ট্রাসনিক সেন্সর ব্যবহার করার পদ্ধতি।
আল্ট্রাসনিক সেন্সর কি? আল্ট্রাসনিক সেন্সর হলো আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে দূরত্ব পরিমাপ করার একটি বিশেষ সেন্সর। আল্ট্রাসাউন্ড হলো একধরনের বিশেষ তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের শব্দ। এ শব্দ আমরা সাধারণত শুনতে পারি না। কারণ আমাদের শোনার জন্য যে শ্রাব্যতার সীমা আছে সেই সীমার মাঝে এই শব্দটি পড়ে না। তো আমরা জানি যে শব্দ উৎস হতে তরঙ্গ আকারে চারদিকে প্রবাহিত হয়। যদি উৎসের সামনে কোন বস্তু থাকে তখন  শব্দ সে বস্তুর গায়ে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় উৎসের দিকে ফিরে আসে। যে কারণে বড় পাহাড়ের সামনে কিংবা দেয়ালের সামনে দাড়িয়ে কথা বললে আমরা সে কথা পুনরায় শুনতে পাই। একে প্রতিধ্বনি বলে। আমরা এই সেন্সর দিয়েও ঠিক এই ধরনের কাজ করবো। এই সেন্সর একধরনের আল্ট্রাসাউন্ড তৈরী করবে। তখন এই শব্দটি সামনে অগ্রসর হবে এবং কোন বস্তু থাকলে তার গায়ে আঘাত খেয়ে পুনরায় সেন্সরের দিকে ফিরে আসবে। শব্দ তৈরী এবং পুনরায় ফিরে আসার মাঝে যে সময় অতিবাহিত হয় তা আমরা আরডুইনো ব্যবহার করে হিসাব করবো। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, যে সময় কতটুকু লাগলো তা জেনে আমাদের কি লাভ? হুম, এখানেই তো মজা। যারা বিজ্ঞান বিভাগে পড়ো তারা হয়তো অলরেডি ধারণা করতে পারছো যে কিভাবে দূরত্বটা বের করতে হবে। যারা বিজ্ঞান বিভাগে পড়ো না তারা ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আমি বুজিয়ে দিচ্ছি। আসলে পদার্থ বিজ্ঞানে শব্দের বেগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। পদার্থ বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা জানতে পেরেছি যে বাতাসে শব্দ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৩২ মিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। অবশ্য তাপমাত্রা পরিবর্তিত হলে এই বেগের পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হয়। তাও এটা হলো একটা আদর্শ মান। এখন খেয়াল করে দেখুন তো সময়ের সাথে দূরত্বের একটা সম্পর্ক আমরা পেয়ে গেছি তাই না? এখন আমরা দেখবো যে আমাদের সেন্সরের মাধ্যমে তৈরী হওয়া শব্দটি কতক্ষণ পরে আবার সেন্সরে ফিরে এসেছে। সেই সময়টাকে ধরে আমরা সূত্রটার মাধ্যমে খুব সহজেই দূরত্বটা বের করতে পারবো। কি? মজার না বিষয়টা? হুম আর বেশি কথা বলবো না। তাহলে আবার মাথা গুলিয়ে যাবে। তার চেয়ে ভালো চলো আমরা প্র্যাকটিক্যালি বিষয়টি শিখে ফেলি।


আশা করছি আজকের বিষয়টি সবাই বুজতে পেরেছ। তারপরেও যদি কোন বিষয় নিয়ে কারো মনে কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই শেয়ার করবে। আর যারা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করবে তারা কিন্তু এখান থেকে দারুণ সব প্রজেক্টের আইডিয়া নিয়ে নিতে পারো। তবে আমিও আগামী পর্বে একটা প্রজেক্ট করে দেখাবো। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন