আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আজকে আমরা আরডুইনো টিউটোরিয়াল এর ১১তম পর্ব নিয়ে আলোচনা করবো। আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো সেটা হলো অ্যারে।
অ্যারে কী? অ্যারে হলো একটি ভ্যারিয়েবলের অধীনে একই ধরনের অকেগুলো ভ্যালু স্টোর করার পদ্ধতি। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি বুজতে সুবিধা হবে। ধরুন আপনার ক্লাসে ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। এখন তাদের সবাইকে যদি আপনি আলাদা আলাদা ভাবে ভ্যারিয়েবল দিয়ে কল করতে যান তাহলে ৩০টি ভ্যারিয়েবল ডিক্লায়ার করতে হবে। কিন্তু আমরা ৩০ জনকেই কল করবো কিন্তু ভ্যারিয়েবল ব্যবহার করবোে একটা। কিভাবে? ধরুন আমার ভ্যারিয়েবলের নাম দিলাম রোল। এখন আমি যদি বলি যার রোল ৫ সে দাঁড়াও। তাহলে কিন্তু একজন দাঁড়াবে। অর্থ্যাৎ আমরা রোল নামক ভেরিয়েবলের সাথে শুধু একটা সংখ্যা বসিয়ে দিয়ে যে কোন ছাত্র-ছাত্রীকে কল করতে পারছি। এটাকেই অ্যারে বলা হয়। আর অ্যারের সাথে আমরা যে নাম্বারটা ব্যবহার করেছি তা হলো অ্যারের ইনডেক্স। অর্থ্যাৎ অ্যারের কত তম উপাদানকে আমরা কল করতে চাই। তবে একটা কথা জেনে রাখা দরকার সেটা হলো, সব ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজেই ইনডেক্স শুরু হয় 0 থেকে। অর্থ্যাৎ আপনি যদি অ্যারের প্রথম সদস্যকে কল করতে চান তাহলে অ্যারের ইনডেক্স দিতে হবে ০। যদি ৫ নাম্বার সদস্যকে কল করতে হয় তাহলে অ্যারের ইনডেক্স হবে ৪। এ ব্যাপারটি অবশ্য আমি এর আগেও আলোচনা করেছিলাম।
যে কোন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এ অ্যারে ব্যবহার করতে হয়। তাহলে নিজেই চিন্তা করুন এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া ভেরিয়েবলের ঝামেলা কমানোর জন্য কিন্তু অ্যারে অনেক উপকারী। আমরা যখন আমদের পরবর্তী প্রজেক্টগুলো করবো তখন আমরা অ্যারে দিয়ে অনেক জটিল জটিল কোডকে মাত্র কয়েক লাইনে লিখে ফেলতে পারবো। যার বাস্তব উদাহরণ আজকের ভিডিওতে আমি দেখিয়েছি।
অ্যারে কয়েক ধরনের হয়। যেমন: 1 Dimensional Array, 2 Dimensional Array, 3 Dimensional Array etc. ডাইমেনশনটা কি সেটা একটু বলে নিই। তবে আমি এর সংজ্ঞা বলবো না। সরাসরি উদাহরণ দিয়ে বলছি। ডাইমেনশনকে এক কথায় বললে বলতে হয় অ্যারের ভেতর অ্যারে। অর্থ্যাৎ একটা অ্যারের মধ্যে আরেকটা অ্যারে দিলে তখন তাকে বলবো 2 ডাইমেনশনাল অ্যারে। যদি 2 ডাইমেনশনাল অ্যারেটা যদি আরেকটা অ্যারের মধ্যে থাকে তখন তাকে বলবো 3 ডাইমেনশনাল অ্যারে। আচ্ছা উদাহরণ দিয়ে বলি। ধরুন একটু আগে যে আমরা একটা ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীর জন্য একটা অ্যারে তৈরী করেছিলাম রোল নামে। এখন আমি যদি বলি একটা হাই স্কুলের সব ছাত্র ছাত্রীদের জন্য একটা অ্যারে তৈরী করতে হবে। তাহলে কি আর আগের অ্যারে দিয়ে হবে? এখন যদি আগের অ্যারে ব্যবহার করে রোল ৫ কে কল করি তাহলে ক্লাস 6 থেকে ক্লাস 10 পর্যন্ত সব ক্লাসের একজন করে চলে আসবে। কিন্তু তাহলে তো ব্যাপারটা ইউনিক হচ্ছে না। এখন বিষয়টাকে যদি একদম ইউনিক করতে হয় তাহলে আমাদেরকে রোলের সাথে আরেকটা বিষয় যোগ করতে হবে। সেটা হলো ক্লাস। তাহলে ক্লাসের জন্যও একটা অ্যারে তৈরী হয়ে যাবে। যার উপাদান সংখ্যা হবে ৫। এখন আমরা যদি ক্লাস এইটের রোল ২০ এর ছাত্রটিকে ডাকতে চাই তাহলে প্রথমে ক্লাস নামেক অ্যারে থেকে দেখতে হবে কোন ক্লাসের। তারপর সে ক্লাস থেকে দেখতে হবে রোল কত। এটাই হলো একটা ২ ডাইমেনশনাল অ্যারে। আশা করছি আপনারা বুজতে পেরেছেন। যারা এখনো বুজেননি তারা ভয় পাওয়ার কোন দরকার নাই। কারণ অ্যারে নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো। আজকে যেহেতু অ্যারে নিয়ে প্রথম ভিডিও টিউটোরিয়াল আজকে আমরা ১ ডাইমেনশনাল অ্যারে নিয়েই আলোচনা করবো এবং একটা বাস্তব প্রজেক্ট দেখবো। ভিডিওটি দেখুন।
আশা করছি আজকের পর্বটি আপনারা ভালো করে বুজতে পেরেছেন। তারপরও যদি কারো কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই টিউমেন্ট করে জানাবেন।
আমাদের ফেসবুক পেজ: নাবা টেক ওয়ার্ল্ড
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল: Naba Tech World
আমাদের এই টিউটোরিয়াল সম্পর্কে আপনাদের যে কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা আমাদের ফেসবুক পেজে জানাতে পারেন। আমাদের ভিডিওগুলো ভালো লাগলে এবং আপনার সামান্যতম উপকারও হয়ে থাকলে অামাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ থাকলো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন